আসনের এমপি ও ওয়ানডে ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্যক্তিগত টাকায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৩৪টি এতিমখানায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লোহাগড়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে এ সব এতিমখানার তত্ত্বাবধায়কদের কাছে এ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
মাশরাফি ঢাকায় থাকার কারণে তার পক্ষে এগুলো বিতরণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশিয়ুর রহমান, সহ-সভাপতি একেএম ফয়জুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ এম আব্দুল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.জাকির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্সী জোসেফ হোসেন প্রমুখ।
২৩ ঘণ্টা রোজা রাখেন যে দেশের মু’সলমানরা!
ধৈর্য ও সহিঞ্চুতার বারতা নিয়ে রমজান আসে। পানাহার ও যৌ’নাচার বর্জনের এইপরীক্ষায় সবার ক’ষ্ট এক রকম হয় না। কোনো কোনো দেশের মানুষ ১০ ঘন্টারও কমরোজা রাখেন, আবার কোনো কোনো দেশের রোজাদারেরা রোজা রাখেন দীর্ঘ ২৩ ঘন্টা!
যু’ক্তরাজ্য, রাশিয়া, ডেনমা’র্ক, বেলারুশ, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড,কাজাকিস্তান, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরিতে রোজা রাখার সময় প্রায় ১৯ ঘণ্টা।আবার মাত্র ৯ ঘণ্টা ৩০ মিনিট রোজা রাখছেন আর্জেন্টিনার মু’সলিম বাসিন্দারা।
এছাড়াও ১০ ঘণ্টা রোজা রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার মু’সলিম’রা। ১১ঘণ্টার কাঁ’টায়ও রয়েছেসবচেয়ে কম সময় উপবাস থেকে রোজা রাখছেন আর্জেন্টিনার পার্শ্ববর্তী দেশ ব্রাজিল।
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ৯-২১ ঘণ্টার মাঝামাঝিতেও পানাহার বর্জনের পরীক্ষা দেনঅনেকেই। সে দেশগুলো হলো- মধ্যপ্রাচ্যের মিশরে প্রায় ১৬ ঘণ্টা, সৌদি আরব, সংযু’ক্তআরব আমিরাত, ফিলি’স্তিন ও ইয়েমেনে ১৫ ঘণ্টা, কাতার ১৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিট এবং
কুয়েত, ই’রাক, জর্দান, আলজেরিয়া, ম’রক্কো, লিবিয়া ও সুদানে ১৪ ঘণ্টা। পাশাপাশিএশিয়ার পা’কিস্তানে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ও ভা’রতীয় মু’সলমানরা ১৪ ঘণ্টা ১৬ মিনিট রোজা রেখে উপবাস থাকেন।এছাড়াও ফ্রান্সে ১৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট, ইতালিতে ১৭ ঘণ্টা, কানাডায় পৌনে ১৫ ঘণ্টা,
ফিলিপাইনসে সোয়া ১৪ ঘণ্টা, মালয়েশিয়ায় ১৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট, সিঙ্গাপুর ১৩ ঘণ্টা ৩মিনিট এবং কেনিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সোয়া ১৩ ঘণ্টা রোজা রাখতে হয়।এর মধ্যে বেশ দীর্ঘ সময় রোজা রাখছেন পৃথিবীর উত্তরাঞ্চলের মু’সলমানরা। বিশেষত
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর (১. আইসল্যান্ড ২. সুইডেন ৩. নরওয়ে ৪. ডেনমা’র্ক ৫. ফিনল্যান্ড) অধিবাসীরা।
তাদের রোজার দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ ঘন্টা। আবার আইসল্যান্ড ও গ্রীনল্যান্ডে বসবাসরত মু’সলমানদের রোজার সময়ের দৈর্ঘ্য গড়ে ২১ ঘণ্টা।ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এর নর্ডিক অঞ্চলের একটি দেশ ফিনল্যান্ড।
জীবনযাত্রার মান যথেষ্ট উন্নত হওয়ায় নানা দিক থেকে বিশ্বের মানুষের মাঝে আজ বেশআ’লোচিত একটি দেশ এটি। শীতপ্রধান এ দেশটির মোট জনসংখ্যা পঞ্চাশ লাখেরমতো। এর মধ্যে মু’সলমানের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ মু’সলমান।
ফিনল্যান্ডের মু’সলমানরা এবারের রোজায় ২২ ঘণ্টারও অধিক সময় রোজা রাখছেন।রাজধানী হেলসিংকি সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ার কারণে এখানে বসবাসরতরোজাদাররা রোজা রাখেন ২২ ঘণ্টা ১২ মিনিট। এটিই হলো- ফিনল্যান্ডের রোজার
সবচেয়ে কম সময়। অন্যান্য এলাকায় রোজার সময় আরও বেশি।
ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে উত্তরের শহর ল্যাপল্যান্ড এলাকায় বসবাসরত মু’সলামানরাসবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখেন। সেখানে রাত আসে মাত্র ৫৫ মিনিটের জন্য।তাদের প্রতিদিনকার রোজার দৈর্ঘ্য হয় ২৩ ঘণ্টারও বেশি।
রমজানরাজধানী থেকে উত্তর দিকের শহরগুলোতে রোজার সময় বেড়ে যায়। ফিনল্যান্ডেরউত্তরদিকের বৃহত্তম শহর উলু। সেখানকার রেজাদারগণ ২৩ ঘণ্টা (৭ মিনিট কম) রোজা
রাখেন। দেশের উত্তরের অন্যান্য শহরগুলোতে ১ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে ইফতার ও সাহরি সম্পন্ন করতে হয় রোজাদারদের।এতো দীর্ঘ সময় রোজা রাখা অনেকটা অসাধ্য হওয়ায় সেখানকার ইস’লামিক স্কলাররা
ফাতাওয়া দিয়েছেন পার্শবর্তী কোনো মু’সলিম দেশের সময় অনুপাতে রোজা রাখতে।কিন্তু ফিনল্যান্ডের অধিবাসীরা এই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ২৩ ঘন্টা রোজা রাখছেন। আর ইফতার করছেন মাত্র ১ ঘন্টার জন্য।
ফিনল্যান্ডে বসবাস করেন নানা দেশীয় মু’সলমান। ই’রাক, সোমালিয়া, তুরস্ক,থাইল্যান্ডের অনেক মু’সলমান এখানে বসবাস করেন।
তাতারিদের মাধ্যমে দেশটিতে ইস’লাম প্রবেশ করলেও নব্বইয়ের দশকের শুরুতেশরণার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মু’সলমানদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে ফিনল্যান্ডে।
এক সময় ফিনল্যান্ডে সবধরনের ইস’লামি কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছিল। ১৯২৫ সালে সর্বপ্রথমআনুষ্ঠানিকভাবে ইস’লামী জলসা অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপেরদেশগুলোর মাঝে ফিনল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম কোনো ইস’লামি জলসার অনুমোদন দেয়।
দীর্ঘতম দিনের বিষয়টি মা’থায় রেখে ফিনল্যান্ডের মু’সলমানরা তাদের পার্শ্ববর্তী দেশেরসময় অনুযায়ী রোজা পালন করেন। ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় রোজার দৈর্ঘ্য হলেফিনল্যান্ডের অধিকাংশ মু’সলমান পার্শ্ববর্তী দেশের সময়ের সঙ্গে মিল করে রোজা রাখেন।
ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ডে বসবাসরত মু’সলমানরা তাদের রোজার সময় নির্ধারণ করেনসবচেয়ে কাছের মু’সলিম দেশ তুরস্কের সময় অনুযায়ী। গতবছর এক ফতোয়ায়তাদেরকে ম’ক্কা অথবা নিকটতম মু’সলিম দেশের রোজার সময় অনুসরণ করতে বলা
হয়েছে। এ বছর তাদের অনেকেই সেই ফতোয়াকে অনুসরণ করছেন। -‘আল মিসরি আল ইয়াউম’ ও ‘কল্লা ওয়া দাল্লা’ ওয়েস অবলম্বনে
হঠাৎ তেলাপোকা খুব বেড়ে গেছে? জেনে নিন তেলাপোকা তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায়
রে তেলাপোকার উপদ্রব খু্বই বিরক্তিকর। এটি শুধু বিরক্তিকরই নয়, বরং নানারকম অসুখের কারণও। বাজারে তেলাপোকা দূর করার জন্য নানা স্প্রে ও নানা ঔষধ পাওয়া যায়। কিন্তু সবসময় এই স্প্রে বা ঔষধ কাজ করে না। তবে তেলাপোকা তাড়ানোর জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে।খুব সহজে দূর হবে ঘরের তেলাপোকা। তাহলে আসুন জেনে নেই কীভাবে তাড়াবেন ঘরের তেলাপোকা।
তেজপাতা–তেজপাতা তেলাপোকা দূর করতে সাহায্য করে।কয়েকটা তেজপাতা গুঁড়া করে নিন।যেসকল স্থানে তেলাপোকা আসতে পারে সেখানে তেজপাতার গুঁড়া রেখে দিন।তেলাপোকা তেজপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না।এটি তেলপোকা মারবে না কিন্তু তেলপোকাকে ঘর থেকে দূরে রাখবে।
বেকিং সোডা ও চিনি–সমপরিমাণে বেকিং সোডা এবং চিনি মিশিয়ে নিন।এবার যেসব ঘরে তেলাপোকা আনা গোনা সেখানে ছিটিয়ে দিন।তেলাপোকা এটি খাওয়ার সাথে সাথে মারা যাবে।
শসা–শসা তেলাপোকা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী।একটি অ্যালুমিনিয়াম ক্যানে শসার কিছু খোসা নিন।এবার এই ক্যানটি তেলপোকা আসার স্থানে রেখে দিন।দেখবেন তেলাপোকা উপদ্রব বন্ধ হয়ে গেছে।শসার খোসা অ্যালুমিনিয়ামের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকে।যা তেলাপোকার মৃত্যু ত্বরান্বিত করে থাকে।
প্রেট্রোলিয়াম জেলি–একটি জারে প্রেট্রোলিয়াম জেলি নিন।এবার এতে কিছু ফলের খোসা যেমন আম, কলা, আপেল রেখে দিন।ঘরের যে জায়গা দিয়ে তেলাপোকা প্রবেশ করে সেখানে এই জারটি রেখে দিন।ফলের খোসার গন্ধ তেলাপোকাকে আকৃষ্ট করবে আবার প্রেট্রোলিয়াম জেলী তেলাপোকাকে জারের ভিতরে ঢুকতে বাঁধা দিবে।তেলাপোকা যখন জারের চারপাশে এসে জমে যাবে তখন স্প্রে বা সাবান পানি ছিটিয়ে দিন।দেখবেন তেলাপোকা এক নিমিষে দূর হয়ে গেছে।
গোল মরিচের গুঁড়া–একটি মগে এক লিটার পানি নিন এবং এতে একটি রসুনের কোয়া, একটি পেঁয়াজের পেস্ট এবং এক টেবিল চামচ গোল মরিচের গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন।এবার এটি স্প্রে করে দিন সারা বাড়িতে বা যেসব জায়গায় তেলাপোকা বেশি আসে।দেখবেন তেলাপোকা আপনার বাসা থেকে দূর হয়ে গেছে।
সূত্র: যুগান্তর